অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে যমুনায় মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বয়সের কারণে হুইল চেয়ারে করে চলাচল করতে হয় তাকে। যমুনায় দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে অপেক্ষমান ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সোফায় বসিয়ে তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায় প্রফেসর ইউনূসকে। দেশের সিনিয়র এই রাজনীতিবিদের প্রতি প্রফেসর ইউনূসের সম্মান প্রদর্শনের এই দৃশ্যের প্রশংসা করেছেন অনেকে। ড. কামালের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে নেটিজনদের প্রশংসায় ভাসছেন ড.ইউনূস!
সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে বিভিন্ন ধরনের সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট। তবে, এ জন্য সরকারকে কোন সময় বেধে দেয়া হয়নি বলেও দলগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার একাধিক রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই বৈঠকে হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এলডিপি, গণফোরাম, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও বাম গণতান্ত্রিক জোটকে বৈঠকে ডাকা হয় নি।এই বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলসহ সংবিধান সংশোধনের বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কোন কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দুই মেয়াদের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান চালুরও দাবি জানানো হয়। জাতীয় সংসদে ভোটের হারের ভিত্তিতে আসন বণ্টনের প্রস্তাব করেছে কোন কোন রাজনৈতিক জোট।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাবগুলোর ভিত্তিতে সংস্কারের রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা”।
তবে এসব সংস্কারের কতদিন সময় লাগবে কিংবা বর্তমান সরকার কতদিন দায়িত্বে থাকবে সেটি নিয়েও জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে প্রেস সচিব মি. আলম বলেন, “বর্তমান সরকারের জন্য যৌক্তিক সময় কতদিন তা সংস্কার প্রস্তাবের পরই বলা যাবে। এখনই তা বলার সুযোগ নেই। তবে সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কোন সময় বেধে দেয়া হয় নি”।