বাংলাদেশে বন্যার্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে সশস্ত্র বাহিনী। সশস্ত্র বাহিনীর ৩টি ফিল্ড হাসপাতাল ও ১৯টি মেডিকেল টিম, ১টি সেনা ক্লিনিক বন্যা দুর্গতদের নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম, ফিল্ড হাসপাতাল ও সেনা ক্লিনিক এর মাধ্যমে ৯,৮৫৭ জনকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বন্যার কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর মেডিকেল টিমগুলো বন্যা দুর্গত এলাকায় এ পর্যন্ত ৪২,১১৩ জনকে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সশস্ত্র বাহিনী। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘন্টায় (০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক সর্বমোট ৪৮ জন বন্যা দুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার, ৫২,৫১৫ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী এবং ৪৫০ জনকে রান্না করা খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক ২০,০০০ পিস পোশাক ও ৮ কার্টুন ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে। এসময় সশস্ত্র বাহিনী ১০টি হেলিকপ্টার সর্টির মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
এছাড়াও, বন্যা দুর্গত এলাকায় মোবাইল সংযোগ সচল করার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় বেসামরিক মোবাইল কোম্পানিগুলো টাওয়ার মেরামতের কাজ চলমান রেখেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্যা দুর্গত এলাকায় বর্তমানে সেনাবাহিনীর ৩০টি, নৌবাহিনীর ২টি, বিমান বাহিনীর ১টি এবং কোস্ট গার্ডের ১টি সহ সর্বমোট ৩৪টি ক্যাম্প মোতায়েন রয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন শনিবার ফেনীর দুর্গাপুরের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি জেলার দুর্গাপুর ও আশপাশের এলাকায় বিমানবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিদর্শনের পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ পুনঃসংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনী শনিবার ফেনী ও ভোলার বন্যাদুর্গত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ছাড়াও চিকিৎসা সেবা সহায়তার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।